নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় পারিবারিক দ্বন্দের জের ধরে নজু মিয়া নামের এক ব্যক্তি তার মেয়ের জামাতাসহ তাঁর পরিবারের লোকজনকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে উল্টো পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নে ঘটেছে এ ঘটনা। মঙ্গলবার বিকালে চকরিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিশদ বর্ণনা তুলে ধরেছেন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
ভুক্তভোগী পরিবার সদস্যদের অভিযোগে জানা গেছে, চিরিঙ্গা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরণদ্বীপ মসজিদ পাড়া গ্রামের নূরুল আলমের ছেলে মিজানুর রহমানের সাথে বিগত ২০০২ সালে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সওদাগরঘোনা গ্রামের নজু মিয়ার মেয়ে ইয়াছমিনের। তাদের সুন্দর সংসারে ২সন্তানও রয়েছে। কিন্তু তিনমাস পূর্বে আকর্ষ্মিকভাবে সন্তানের শ্বাশুর (বেয়াই) নজু মিয়া বলেন, তার মেয়ে আলাদা সংসার করবে। ছেলে এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত নজু মিয়া পরিকল্পনা করে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মেয়ের শ্বাশুর বাড়ির লোকজনকে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টায় হুমকি প্রদান করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে নুরুল আলমের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে এই ধরণের খবর দেন পুলিশকে অভিযুক্ত নজু মিয়া।
খবরের প্রেক্ষিতে চকরিয়া থানার শিক্ষানবিশ সহকারি পুলিশ সুপার ও থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটিদল নুরুল আলমের বাড়িতে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। এরপর পুলিশ বসতবাড়িতে ব্যাপক তল্লাসি চালিয়ে কোন ধরণের অস্ত্রের কোন সন্ধান না পাওয়ায় পুলিশকে তথ্য প্রদানকারী পুত্রের শ্বাশুর নজু মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
পুলিশের অভিযানকালে ঘটনাস্থলে চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসীম উদ্দিন বিএ, ইউপি সদস্য পরিষদের চৌকিদার-দফাদারসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। অভিযান শেষে পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে নজু মিয়ার দেয়া তথ্য বিভ্রান্তি মূলক বলে বুঝতে পারেন।
ভূক্তভোগী পরিবারের নূরুল আলমের ছেলে শিক্ষানবীশ আইনজীবী রেজাউল করিম বলেন, পুলিশকে মিথ্যা তথ্যা দেয়া নজু মিয়াকে রিমান্ডে নিলে ফাঁসানোর চেষ্টার ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন হবে। পরবর্তীতে এ ধরণের আরো ঘটনার আশঙ্কায় আমার বাবা নুরুল আলম বাদী হয়ে গত ৮ নভেম্বর চকরিয়া একটি থানায় সাধারণ ডায়েরী (নং ৪৭১/১৯) দায়ের করেছেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, নুরুল আলমের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র আছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালাই, ওই বাড়িতে তল্লাসী করি। কিন্তু সেখানে কোন ধরণের অবৈধ অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই মিথ্যা তথ্য প্রদানকারী নজু মিয়াকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: